নতুন সময়২৪.কম | আপডেট: 8:15 AM, March 28, 2025
সিলেটে বিএনপি নেতার শেল্টারে ছিনতাই সিন্ডিকেট!

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চিনি চোরাচালান নিয়ন্ত্রন, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইকারী,অটোরিকশা চালকদের শেল্টার দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদের বিরুদ্ধে বিএনপি ও অঙ্গসংঘটনের নেতাকর্মীরা মুখ খুলেছেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার কোহিনুর আহমদ ছিনতাইর টাকা ভাগাভাগি নিয়ে গনধোলাই খেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আত্মগোপনে চলে যান। এর পর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরীর আস্তাভাজন হওয়ায় কোহিনুরের বিরুদ্ধে দল থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
যুবদলের এক পদধারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দক্ষিণ সুরমায় বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশন এলাকায় যত ধরনের চুরি ছিনতাই হচ্ছে তার মুলে কোহিনুর আহমদ। বিষয়টা দলের অনেকে জানলেও তাকে শাস্তির আওতায় আনা যাচ্ছে না। তবে, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) নিজে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে প্রচার করেন তিনি।
তবে, অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অন্য তথ্য, ছিনতাইর টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তিনি হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে যুবদল,ছাত্রদল,সেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে তার এ অপকর্মের বিরুদ্ধে একটি মিছিল করেছেন তারা।
নাসিম আহমদ নামের একজন বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, চিনি ডাকাতির টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে নিজ বলয়ের জুনিয়রদের হামলার শিকার হন সিন্ডিকেটের মূল হোতা কোহিনুর আহমদ।
জানা গেছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমেদ ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বেপরোয়া হয়ে পড়েন। চাঁদাবাজি, দখল, চুরি,ছিনতাই এমন কোনো অপরাধ নাই তার নেতৃত্বে হয় না। বিভিন্ন গ্রুপ উপগ্রুপের মাধ্যমে তার নেতৃত্বে চলে এসব অপরাধ কর্মকান্ড।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে হঠাৎ তিনি প্রচার করেন বড়ইকান্দি এলাকায় তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। এসময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ও নগদ চার লাখ টাকা নিয়ে যায় বলে জানান তিনি। তবে, খোজ নিয়ে জানা যায়, ছিনতাইর টাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। তবে, ঘটনার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
কোহিনুর আহমদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, মারামারির ঘটনা সর্ম্পকে আমরা অবগত হয়েছি। কিন্তু তিনি লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

