নতুন সময়২৪.কম | আপডেট: 7:34 AM, August 15, 2022
১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কাউন্সিলর মানিকের মাংস ও চাল বিতরণ
ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান মানিকের উদ্যোগে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাংস ও চাল বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি অসহায় ও দারিদ্র্যদের মাঝে মাংস ও চাল বিতরণ করেন।
এসময় কাউন্সিলর মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ে রয়েছে এবং আগামীর প্রজন্মের ও হৃদয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, জাতীয় শোক দিবস বাঙালি জাতির একটি স্মরণীয় দিন। এদিনে জাতির জনককে আমাদের বেশি বেশি মনে পড়ে। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে সদস্যদের হত্যা করে। এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য কালো দিন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানেই আগামীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন। সেই স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
মানিক বলেন, নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়। প্রায় সকলেই জানেন এ দিনটি হলো বাংলাদেশের শোকের দিন। একটি কালো রাত।
আজ (১৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাৎ শাহাদতবার্ষিকীতে এসে আমরা বলতে পারি ‘বিশ্ব ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অনন্য নাম’। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না।
তিনি বলেন, ঘাতকেরা ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছেলে ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, কৃষকনেতা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বেবী সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আরিফ, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে ঘৃণ্য ঘাতকরা এ দিনে হত্যা করে।
এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলও নিহত হন। ঘাতকদের কামানের গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজনও হতাহত হন।
১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস আমাদের সেই ভয়াবহ দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করার পর দেশের উন্নয়নে, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন এবং বিভিন্ন সময় যেসব পরামর্শ ও নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন—তা বাংলাদেশ জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে এবং থাকবে।
তিনি বলেন, দেশের জন্য অবিরাম কাজ করে গিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যা আমাদের বার বার মনে করিয়ে দেয়। ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে যেন বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে সেই প্রত্যাশা আমাদের।