নতুন সময়২৪.কম | আপডেট: 7:50 AM, August 14, 2022
শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার নিয়ে যা বললেন পুলিশ সুপার
নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার ভোরে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিক্ষিকা ও ছাত্রের প্রেমের কাহিনী ছড়িয়ে পড়লে দুজনই বিষয়টিকে পজিটিভ নিয়েছিলেন। কিন্তু সামাজিক, পারিবারিক এবং কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় তাদের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়।
সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি বহুল আলোচিত-সমালোচিত হয়। মানসিক চাপের কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখছি।’ আজ সকালে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধারের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপার বলেন, ‘তদন্ত করলেই সত্যিকার কারণ উদঘাটন হবে। এ ঘটনা কঠিনভাবে তদন্ত করা হবে। মহিলা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছেন। তারা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছেন। সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে।’ গত ৩১ জুলাই কলেজছাত্র ও ওই শিক্ষিকার বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। এর আগে ওই শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি।
প্রথম স্বামীর ঘরে এক সন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে। খাইরুন নাহার জানিয়েছিলেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ওই সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সঙ্গে। মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। পরে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।