সহস্রাধিক মৃত্যুর ভারে কাতর আফগান, সাহায্যের আহ্বান

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম আর আফগান সরকারের মুখপাত্র গতকাল বুধবারই জানিয়েছিল এক হাজারের বেশি মানুষ ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যাও দেড় হাজারের বেশি। সেই হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। এর মধ্যেই আবার বাড়তি বিপদ হিসেবে হানা দিয়েছে বৃষ্টি, তাই ভূমিকম্প কবলিত পাকতিয়া প্রদেশে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে। স্বজনের মরদেহ মর্গ কিংবা কবরে রেখে, অথবা নিখোঁজ স্বজনের খোঁজ করতে করতেই নির্মম পরিস্থিতি আফগানিস্তানের মানুষদের বাধ্য করছে খাবার আর মাথা গোঁজার ঠাইর জন্য হাত পাততে।

যুদ্ধ কবলিত দেশটির অর্থনীতির ঝুলিও ফাঁকা। তাই বিদেশি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে আছে আফগান সরকার। ক্ষমতায় বসা গোষ্ঠীটিও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে আশ্রয় আর খাবারের জন্য হাত বাড়িয়ে থাকা মানুষদের সহায়তা করার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, তার সংস্থা আফগানিস্তানকে সহায়তা করার জন্য পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত। এরইমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের দল, চিকিৎসা সামগ্রী ও জরুরি আশ্রয় ব্যস্থপনা টিম ভূমিকম্প কবলিত এলাকার দিকে রওয়ানা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বারমাল ও গায়ান জেলা। এরমধ্যে গায়ানের একটি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ভুক্তভোগী শাবির বলেন, ‘ছাদ খুলে পড়ে যায়, আমি আটকা পড়ি, তবে আমি আকাশ দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার কাঁধ ভেঙে গেছে, মাথায় আঘাত লেগেছে। তবে আমি বেরিয়ে আসতে পেরেছি। আমি নিশ্চিত আমার পরিবারে সাত অথবা নয়জন আমার মতো আটকা পড়েছিলেন, তাদের কেউই বেঁচে নেই।’ এছাড়াও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা কারো সাথে যোগাযোগও করতে পারছেন না।

সূত্র: বিবিসি