রক্ত দান জীবনের দান

জিল্লুর রহমান জয় : ইডেন মহিলা কলেজ,ঢাকার অর্নাস ২য় বর্ষের একজন ছাত্রী নওশিন তাবাসসুম তিনি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত একজন পেশেন্ট। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম থ্যালাসেমিয়াপ্রবণ একটি দেশ। তিনি বলেন, আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে খুব একটা অবগত নন। থ্যালাসেমিয়া অনিরাময়যোগ্য বংশগত একটি রক্তরোগ।

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর দেহে লোহিত রক্তকণিকা ঠিক মতোন তৈরি হতে পারেনা, তাই রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেশ কমে যায় এতে করে তার এবং তার মতো রোগীদের নিয়মিত রক্ত সঞ্চালন করতে হয়। ফলপ্রসূত আমার মাসে ১ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।

আরও অনেক মেজর রোগী রয়েছে যাদের মাসে ৩/৪ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।তবে আমাদের পক্ষে এই রক্ত জোগাড় করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।দেশের বহুল পরিচিত ব্লাড ডোনার ক্লাব ও সংস্থাগুলোও এতো পরিমান রক্ত জোগাড় করতে মোটামুটি হিমশিম খায়। দক্ষিন এশিয়ায় স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতার সংখ্যা বাংলাদেশে সর্বনিন্ম পর্যায়ে।

সাধারণত রক্ত দানের উপকারিতা অত্যধিক বছরে ৩ বার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলার সাথে সাথে নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য রক্তদান করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, নিয়মিত রক্তদান করলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আমাদের মতোন তরুণ প্রজন্মই পারে রক্তদাতার পরিমাণ বাড়াতে। আমরা যারা স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করছি তারাই পারে এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং রক্তদাতার পরিমান বাড়াতে। যারা বিশ্ববিদ্যায়ে অধ্যয়নরত, তারা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে গিয়ে এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পারেন এবং রক্তদানের বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে পারেন।

কারণ আপনার এক ব্যাগ রক্ত প্রাণ বাঁচাতে পারে মুমূর্ষু থ্যালাসেমিয়া রোগীদের। তাই যারা সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করে থাকেন তাদের রক্তদানের ব্যপারে প্রবল আগ্রহী ভাবে গড়ে তোলা আমাদের মতোন তরুন সমাজের দায়িত্ব। কারণ আপনার একব্যাগ রক্তই বাঁচাতে পারে একজনের জীবন।